আশূরা উপলক্ষ্যে প্রচলিত বিদ‘আতী অনুষ্ঠানাদির কোন অস্তিত্ব এবং অশুদ্ধ আক্বীদা সমূহের কোন প্রমাণ ছাহাবায়ে কেরামের যুগে পাওয়া যায় না। আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সিজদা করা যেমন হারাম, তা‘যিয়ার নামে ভূয়া কবর যেয়ারত করাও তেমনি মুর্তিপূজার শামিল। যেমন রাসূলুলাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন,
‘যে ব্যক্তি লাশ ছাড়াই ভূয়া কবর যেয়ারত করল, সে যেন মূর্তি পূজা করল’। [বায়হাক্বী, ত্বাবারাণী ]
এতদ্ব্যতীত কোনরূপ শোকগাথা বা মর্সিয়া অনুষ্ঠান বা শোক মিছিল ইসলামী শরী‘আতের পরিপন্থী। কোন কবর বা সমাধিসৌধ, শহীদ মিনার বা স্মৃতি সৌধ, শিখা অনির্বাণ বা শিখা চিরন্তন ইত্যাদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করাও একই পর্যায়ে পড়ে।
অনুরূপভাবে সবচেয়ে বড় কবীরা গোনাহ হ’ল ছাহাবায়ে কেরামকে গালি দেওয়া। রাসূলুলাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমরা আমার ছাহাবীগণকে গালি দিয়ো না। কেননা (তাঁরা এমন উচ্চ মর্যাদার অধিকারী যে,) তোমাদের কেউ যদি ওহোদ পাহাড় পরিমাণ সোনাও আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, তবুও তাঁদের এক মুদ বা অর্ধ মুদ পরিমাণ (যব খরচ)-এর সমান ছওয়াব পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না’। [ মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৯৯৮ ‘ছাহাবীগণের মর্যাদা’ অনুচ্ছেদ; ঐ, বঙ্গানুবাদ হা/৫৭৫৪।]
শোকের নামে দিবস পালন করা, বুক চাপড়ানো ও মাতম করা ইসলামী রীতি নয়। রাসূলুলাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘ঐ ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তিশোকে নিজ মুখে মারে, কাপড় ছিঁড়ে ও জাহেলী যুগের ন্যায় মাতম করে’। [ বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/১৭২৫ ‘জানাযা’ অধ্যায় ]
অন্য হাদীছে এসেছে যে, ‘আমি ঐ ব্যক্তি হ’তে দায়িত্ব মুক্ত, যে ব্যক্তি শোকে মাথা মুন্ডন করে, উচ্চৈঃস্বরে কাঁদে ও কাপড় ছিঁড়ে’। [ বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/১৭২৬ ]
অধিকন্তু ঐসব শোক সভা বা শোক মিছিলে বাড়াবাড়ি করে সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তার পার্থক্য মিটিয়ে দিয়ে হুসায়েনের কবরে রূহের আগমন কল্পনা করা, সেখানে সিজদা করা, মাথা ঝুঁকানো, প্রার্থনা নিবেদন করা ইত্যাদি পরিষ্কারভাবে শিরক। আলাহ আমাদের হেফাযত করুন- আমীন!
No comments:
Post a Comment