মৃত্যু আমাদের পিছনে,কবর সাম্নে,কেয়ামত আমাদের প্রতিশ্রুতি সময়সীমা,জাহান্নামের উপর দিয়ে রাস্তা(পুলসিরাত)এবং আল্লাহর সামনে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে জবাবদিহীর জন্য।আখেরাতের প্রথম ঘাটি হচ্ছে কবর।সেখানে যে তিনটি মৌলিক প্রশ্ন করা হবে তার অন্যতম হচ্ছে তোমার ধর্ম কি?আমরা যদি বলি ধর্মনিরপেক্ষ ছিলাম সেটা কি গ্রহন করা হবে?কি ভাবে গ্রহন করে হবে,তাতেতো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুমোদন নেই।গ্রহন করা না হলে সাথে সাথেই শুরু হবে ভয়ংকর শাস্তি।মাটির চাপে হাড়গুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যেতে থাকবে।নিরানব্বই টি বিষধর সাপ এসে পালাক্রমে দংশন করতে থাকবে।এমন বিষাক্ত সাপ যার নিঃশ্বাস দুনিয়ায় একবার মাত্র ছাড়া হলে কোন সবুজ ঘাস বিদ্যমান থাকবে না।এমন হাতুড়ি দিয়ে অনবরত আঘাত করা হবে যা দিয়ে পাহাড়কে আঘাত করলে তা মাটিতে মিশে যাবে।কবরের পর আখেরাত।আখেরাত তো আরো ভয়াবহ স্থান।আল্লাহ বলেনঃ
''এবং সেদিন উপস্থিত করা হবে আমলনামা এবং তাতে যা লিপিবদ্ধ আছে তার কারণে তুমি অপরাধীদের দেখবে আতংকগ্রস্ত এবং তারা বলবেঃহায় দুর্ভোগ আমাদের!এটা কোন গ্রন্থ!এটাতো ছোট বড় কিছুই বাদ দেয় না বরং এটা সমস্ত কৃতকর্মের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেবে রেখেছে;তারা তাদের কৃতকর্ম সম্মুখে উপস্থিত পাবে;তোমার প্রতিপালক কারো প্রতি যুলুম করেনা।''[কাহফ-৪৯]
সেখানে একদল হবে জান্নাতি আর একদল জাহান্নামী।আর জাহান্নামের আগুনের ৭০ ভাগের এক ভাগ শক্তি হচ্ছে দুনিয়ার আগুন।[মুসলিম]
তাহলে সেই আগুনের ভয়াবহতা কত মারাত্বক!
''অতএব যারা দুর্ভাগা হবে তারা তো দো্যখে এইরূপ অবস্থায় থাকবে যে,তাতে তাদের চিৎকার ও আর্তনাদ হতে থাকবে''[হুদ-১০৬]
''আল্লাহর সেই শাস্তি হতে কেউই তাদের রক্ষা করতে পারবে না।''[ইউনুস-২৭]
''হে মু'মিনগণ!তোমরা নিজেদের কে এবং তোমাদের পরিবার পরিজনকে রক্ষা কর অগ্নি হতে,যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর।''[আত তাহরীম-৬]
অতএব সাবধান!সময় খুবই কম।তাই সাবধান হবার সময় এখনই।সাবধানতা মানুষকে বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দেয়।ধরা খেতে হয় বা হবে এমন নীতি গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
মহান আল্লাহপাক মুসলিম বিশ্বসহ সকল মানুষকেই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের কুফল বুঝার তৌফিক দিন এবং সেই ধ্বংসকারীদের মতবাদ হতে বেঁচে থেকে তাঁর পরিপূর্ণ ভাবে মেনে চলার মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে হেফাজত করুন।আমিন।
No comments:
Post a Comment