Tuesday, December 4, 2012

আমাদের বর্তমান সময়ে শিশুদের তারবিয়তের


সায়ীদ ইবনে জুবায়ের [রহ] বলেন, "হযরত হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান [রাযি] এক সফর থেকে ফিরে এসে দেখলেন, তার সন্তানদের পরনে রেশমের লেবাস। তখন তিনি পুত্রদের জামা খুলে ফেললেন আর কন্যাদের পরতে দিলেন।" {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-২৫১৪৬}

সায়ীদ ইবনে আবু হুসাইন নিজের শৈশবের কথা বর্ণনা করে বলেন, "আমি হযরত উম্মে সালামা [রাযি] এর নিকটে গিয়েছিলাম। আমার হাতে ছিল সোনার আঙটি। তিনি তা দেখে একজন মেয়েকে বললেন, 'ওর হাত থেকে আঙটিটি খুলে নাও।' সে তা খুলে নিল। উম্মুল মুমিনীন বললেন, 'এটা তার পরিবারের কাছে ফেরৎ দিবে এবং একটি রূপার আঙটি বানিয়ে আনবে।' আমি বললাম, 'তাদের এ আঙটির প্রয়োজন নেই।' তিনি তখন বললেন, 'তাহলে তা সদকা করে দিও এবং ওর জন্য একটি রূপার আঙটি বানিয়ে এনো'।" {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-২৫৬৫২}

••• আমাদের বর্তমান সময়ে অনেক দ্বীনদার পরিবারেও বাচ্ছাদের এমন ড্রেস-আপ দেয়া হচ্ছে যা বড়দের জন্য স্পষ্টত অশালিন, পরে বাচ্ছারা বড় হয়েও এই ড্রেসে-আপেই থেকে যাচ্ছে, তখন তাদের আর নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না, কিন্তু আমরা এদিকে কোনো খেয়ালই দিচ্ছি, অথচ উপরের দৃষ্টান্তগুলো থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, সাহাবা-তাবেয়ী যুগে শিশুদের তারবিয়তের বিষয়ে কত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শরীয়তের হালাল-হারামের বিধান শিশুদের উপর বর্তায় না। তবে শৈশব থেকেই তাদেরকে শরীয়তসম্মত জীবন যাপনে অভ্যস্ত করার দায়িত্ব মুরব্বী ও অভিভাবকদের। অন্যথায় সাবালক হওয়ার পর শরীয়তের হুকুম-আহকাম মেনে চলা তাদের পক্ষে কঠিন হয়।

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...