রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ "প্রত্যেক ফরজ নামাযের শেষে কিছু দোয়া আছে, যে ব্যক্তি ঐগুলি পড়ে বা কাজে লাগায় সে কখনও ক্ষতিগ্রস্থ হয় না"।
***সহীহ মুসলিমঃ ১২৩৭।
সালাম শেষেঃ
একবার স্বরবে "আললাহু আকবার"।
***মুততাকাহ আলাইহ, মিশকাতঃ ৯৫৯; বুখারিঃ ৮৪১-৮৪২।
'আসতাগফিরুল্লাহ্' ৩ বার এবং
"আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম" [হে আল্লাহ্ ! তুমিই শান্তি, তোমার থেকেই আসে শান্তি । বরকতময় তুমি হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিক]।
*** মুততাকাহ আলাইহ, *মুসলিম: ১২২২, মিশকাত: ৯৫৯-৬১।
রাসুল(সাঃ) বলেছেন, যে ব্যকতি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর ও রাতে শয়নকালে নিচের দু'আ গুলো পড়বে তার গুনাহ যদি সাগরের ফেনাতুল্যও হয় তাহলেও তার সকল গুনাহ মাফ করা হবে। তিনি আয়েশা(রাঃ) ও ফাতেমা(রাঃ)কে প্রত্যেক সালাতের পর ও শয়নকালে পড়তে বলেছিলেন।
সুবহা-নাল্লাহ -৩৩ বার।
আলহাম্দুলিল্লাহ -৩৩ বার।
আল্লাহু-আকবার -৩৩ বার।
এবং
'লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর'- (১ বার)।
অথবা এই কালেমার পরিবতে 'আললাহু আকবার' - ৩৪ বার।
***মুসলিম: ১২৪০, মিশকাত: ৯৬৬-৬৭/২৩৮৭-৮৮; মুততাকাহ আলাইহ।
ফরয সালাতের পর "আয়াতুল কুরসী" (সূরা বাক্বারা আয়াত-২৫৫) ১ বার পড়া। ***নাসাঈ।
রাসূলুল্লাহ (সা) মু'আয বিন জাবালকে বলেছেন, ‘‘তুমি অবশ্যই প্রত্যেক নামাযের পর বলবেঃ আল্লাহুম্মা আইন্নী আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা ( হে আল্লাহ! তোমার স্বরন, কৃতজ্ঞতা এবং সুন্দর উপাসনা করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর )"।
***সুনানু নাসায়ী, আবু দাউদ।
এছাড়াও বিভিন্ন দোয়া আছে-
"লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর" - ১ বার।
"লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" - ১ বার(উঁচুস্বরে)।
*** বায়হাকি।
আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুক্রিকা ওয়া হুসনে ‘ইবা-দাতিকা। আল্লা-হুম্মা লা মা-নে‘আ লেমা আ‘ত্বায়তাঅলা মু‘ত্বিয়া লেমা মানা‘তা অলা ইয়ান্ফা‘উ যাল জাদ্দে মিন্কাল জাদ্দু'
*** মুসলিম, ১২২৬, ১২৩০।
রাসুল(সাঃ) বলেছেন, যে ব্যকতি সকাল(ফজর) ও সন্ধ্যায়(মাগরিব/এশা) নিচের দু'আটি ১০০ বার পড়বে তার গুনাহ যদি সাগরের ফেনাতুল্যও হয় তাহলেও তার সকল গুনাহ মাফ করা হবে। দু'আটি হলঃ
"সুবহা-নাললা-হি ওয়া বিহামদিহ"।
*** বুখারি: ৭৫৬৩; মুততাকাফ আলাইহ, মিশকাত: ২২৯৬-৯৮।
এ ছাড়াও আয়েশা(রাঃ) বনিতঃ রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ ফজর, মাগরিব ও ঘুমানোর পুবে নিচের সুরা গুলো পড়তে বলেছেনঃ
সুরা ইখলাস - ৩ বার।
সুরা ফালাক - ৩ বার।
সুরা নাস - ৩ বার। --- এই তিন সময়ে সুরা গুলো তিন(৩) বার করে পড়ে শরির মাসেহ করতে বলেছেন[আয়েশা(রাঃ) কে বলেছেন] এবং
যোহর, আসর ও এশা নামাযের পর উপরের সুরা গুলো এক(১)বার করে পড়তে বলেছেন।
টিকা: সালাম ফিরানোর পরে আললাহ'র সংগে বান্দার 'মুনাজাত' বা গোপন আলাপের সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়। অতএব, সালাম ফিরানোর আগেই যাবতিয় দোয়া শেষ করা উচিত- সালাম ফিরানোর পরে নয়'।
মন্তব্যঃ সালাম ফিরানোর পর উপরের দু'আ গুলো নিয়মিত আমল করলে কেউ কোন ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। তাই আসুন আমরা নিয়মিত এই আমল গুলো করার চেষ্টা করি। উপরের আমলগুলো করতে ৩০-৩৫ মিনিট সময়ের দরকার। সারা দিন কত সময় নষ্ট করি আর আমরা আমাদের আললাহ'কে ৩০ মিনিট সময় দিতে পারবো না???
আললাহ আমাদের নিয়মিত সহিহ আমল করার সুযোগ দিন এবং পরকালে নাজাত দিন। আমিন।
No comments:
Post a Comment