বিচারের দিন পির/ওলামা/মাশায়েখ/মাজহাব/তরিকা/ফিরকা/মাদানি/মককি/সালাফি/দেওবনদি/সুফিবাদি/জালেম/কাফের/পাপাচারি/চোরমনাই/ফরিদপুরি/দেওয়ানবাগি/কুতুববাগি/এনায়েতপুরি/ভানডারি/আহলে হাদিস/তাবলিগ/আহলে সুননাত আল জামাত/রাজা/বাদশাহ/ধনি-গরিব/ফকির-মিসকিন/আওয়ামিলিগ/জাতিয়তাবাদি দল/জামাত ইসলামি বাংলাদেশ/ইসলামি দল সমুহ/বাম দল সমুহ/নকশবনদি আরো যত সব আছে এরা সবাই কই থাকবো বা কই যাইবো???
পরকালে বিচার দিবসটি হবে দুনিয়ার জিবনের ৫০ হাজার বছরের সমান।
"খামসিনা আল ফাসানা"
*** সুরা মা'আরিজঃ আয়াত-০৪।
বিচারের দিন "মুখে মোহর এঁটে" দেওয়া হবেঃ
বিচারের দিন আল্লাহ রাববুল আলামিন সকলের মুখে মোহর এঁটে দিবেন- কেউ কথা বলতে পারবে না। শরিরের প্রতিটি অংগ-প্রত্যংগ সকলের পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে ও কথা বলবে। এবং আল্লাহ সেদিন কাউকেই অবকাশ দিবেন না। আলেম, জালেম, কাফের, পাপাচারি সবাইকেই জেরা করবেন এবং মিথ্যা বলে পালিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ থাকবে না। অতএব, কোরআন এবং সহিহ সুন্নাহর অবমাননাকারিরা সেদিন রেহাই পাবে না। মহান আল্লাহ বলেনঃ
"আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে"।
*** সুরা ইয়াসিনঃ আয়াত-৬৫।
যিনি বিচার দিবসকে ভয় করে সকল পাপ কাজ থেকে বিরত থাকবেন এবং আল্লাহ'র উপর ভরসা করে ঈমানের সাথে চলবেন বিচার দিবসে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট হবেন। কারন, ঐ ভয়াবহ দিনটি হবে দুনিয়ার জিবনের ৫০ হাজার বছরের সমান। ঐ দিন কেউ কারও উপকারে আসবে না।
আল্লাহ বলেনঃ
"যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন"।
*** সুরা তালাকঃ আয়াত-০৩।
বিচার দিবসটি হবে দুনিয়ার জিবনের পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান।
আললাহ বলেনঃ
تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ(4
ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তা’আলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
*** সুরা মা'আরিজঃ আয়াত-০৪।
এই আয়াতে বিচার দিবসকেই বলা হয়েছে।
يَوْمَ تَكُونُ السَّمَاء كَالْمُهْلِ (8
সেদিন আকাশ হবে গলিত তামার মত।
*** সুরা মা'আরিজঃ আয়াত-০৮।
وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ(9
এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মত,
وَلَا يَسْأَلُ حَمِيمٌ حَمِيمًا(10
বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না।
*** সুরা মা'আরিজঃ আয়াতঃ ০৯-১০।
সেই ভয়াবহ বিচারের দিনে কেউ কারও উপকার করতে পারবে না।
দেখুন আল্লাহ কি বলেছেনঃ
يُبَصَّرُونَهُمْ يَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ يَفْتَدِي مِنْ عَذَابِ يَوْمِئِذٍ بِبَنِيهِ(11
যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে। সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পনস্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে,
وَصَاحِبَتِهِ وَأَخِيهِ(12
তার স্ত্রীকে, তার ভ্রাতাকে,
وَفَصِيلَتِهِ الَّتِي تُؤْويهِ(13
তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত।
وَمَن فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ يُنجِيهِ(14
এবং পৃথিবীর সবকিছুকে, অতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে।
*** সুরা মা'আরিজঃ আয়াতঃ ১১-১৪।
সেদিন সবাই কবর থেকে দ্রুতবেগে বের হবে এবং দৃষ্টি অবনমিত রেখে লক্ষ্যস্থলের দিকে ছুটে যাবে। দেখুন মহান আল্লাহ কি বলেছেনঃ
يَوْمَ يَخْرُجُونَ مِنَ الْأَجْدَاثِ سِرَاعًا كَأَنَّهُمْ إِلَى نُصُبٍ يُوفِضُونَ(43
সে দিন তারা কবর থেকে দ্রুতবেগে বের হবে, যেন তারা কোন এক লক্ষ্যস্থলের দিকে ছুটে যাচ্ছে।
خَاشِعَةً أَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ ذَلِكَ الْيَوْمُ الَّذِي كَانُوا يُوعَدُونَ(44
তাদের দৃষ্টি থাকবে অবনমিত; তারা হবে হীনতাগ্রস্ত। এটাই সেইদিন, যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হত।
*** সুরা মা'আরিজঃ আয়াতঃ ৪৩-৪৪।
No comments:
Post a Comment